Monday 29 January 2018

প্রিয়মানব

#উড়োচিঠি
প্রিয়মানব,
আজ হঠাৎ তোমাকে নিয়ে লিখতে ইচ্ছে হলো।জানি তোমাকে নিয়ে লিখা অপছন্দ তোমার কাছে, তবুও খুব ইচ্ছে করছে তোমাকে নিয়ে লিখতে। তোমাকে জানানোর ছিল আমার কিছু না বলা অনুভূতির কথা।তাই জানাবো আজ।
জানো,মাঝে মাঝে খুব খু্ব ইচ্ছে করে তোমার বুকের বাম পাশটাতে মুখ লুকিয়ে খুব করে কাঁদতে, আর বলতে ইচ্ছে করে অনেক অনেক মিস করতেছি তোমাকে। অথচ তুমি মানুষটা সামনেই থাকবে তোমার বুকে-ই থাকবো তবু তোমাকে মিস করবো কি বোকা বোকা কথাই না হবে তখন!!! তখন তুমি পাগলী বলে আমার সিঁথিতে তোমার ভালবাসার পরশ বুলিয়ে দিবে। অনুভুতি টা এমনই প্রখর, হয়তো কাছে থেকেও বা সম্ভোগেও এ অনুভুতির শেষ হবে না কখনো, এ এক আলাদা অনুভুতি। এতটায় ভালবাসতে ইচ্ছে করে তোমাকে। দেহ দিয়ে নয় মনটা দিয়ে কাছে পেতে ইচ্ছে করে।মাঝে মাঝে মনেহয়, স্বপ্নের রাজকুমারের মতো তুমি আসবে আমার চোখে চোখ রাখবে, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে চোখের ভাষা বুঝে নিবে। চোখের মাঝে দুজনের প্রেম প্রকাশ পাবে। অনেক গভীর হবে এই আমাদের প্রেম। কতই না পবিত্র হবে।।
কারো কারো জীবনে হয়তো ভালবাসাটা অপূরণীয় থেকেই যায়। হয়তো তোমার আমার ভালোবাসাটাও তেমন। অনেক ভালবাসি কিনা জানি না কিন্তু এখন থেকে তোমাকে হারানোর ভয়টা গ্রাস করে আছে। আচ্ছা!! তখন কি করে থাকবো, এখন তো চোখে হারাচ্ছি তখন কি হবে আমার যখন তুমি অন্যের হয়ে যাবে!! তখন তো অধিকারের ছিটে ফুটাও থাকবে না। বলতেও পারবোনা চলে যেয়েও না আমার একা একা লাগবে। বলতেও পারবোনা এত ঘন্টা আসো নি কেন? বলতে পারবো না রাত জাগো কেন? বলতে পারবো না....
জানো, কিছুদিন আগেও কল্পনা করতাম লাল বেনারসি শাড়ী পড়ার। আসলে বানারসি নয়, কোন দামি দামি শাড়ি গহনাও নয়,একদম সাদামাটা এক রাঙা শাড়ি পড়ার। খোলা চুল না হয় খোপা, কোন কাচের বা স্বর্নের চুড়িও না আজীবন মার্কা সিটিগোল্ড এর দুখানা চিকন চুড়ি থাকবে ঠোটে হালকা লিপিস্টিক চোখে কাজল বেস এতটুকু। এ রুপেই তুমি আমাকে অনেক অনেক ভালবাসবে। অথচ, এ কল্পনাগুলো আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। তুমি অন্যের হয়ে যাবে ভাবতেই বুকের ভিতরটা যেন কেমন করে উঠে। এখন প্রায় কল্পনায় আসে কখন একখানা সাদা শাড়ি পড়বো, চোখে কাজলের জায়গায় সুরমা পড়বো, আর চুলগুলো দুভাগ করে বুকের উপর দিয়ে ছোটখাটো একটা শীতলপাটি তে উত্তর দক্ষিণ হয়ে মাটিতে শুয়ে থাকবো....
কতো সহজে অনুভূতি গুলো চলে আসে আবার হারিয়েও যায়। ভাল না বাসতে বাসতে তুমিও কখন যে ভালবেসে ফেললে আমাকে হয়তো নিজেও টের ফেলে না। আজ না নিজের উপর খুব ঘৃন্না হচ্ছে এতো সুন্দর মনের একটা মানুষের ভালবাসা পেয়েও হারাচ্ছি। ভালবেসেও নিজেকে আড়াল করার ব্যর্থ চেষ্টা করেও বারবার তোমার কাছে ধরা পড়েছি। এ কেমন নিয়তি আমাদের!!নিয়তির মারের কাছে আজ আমি বড্ড অসহায়। তোমাকে সত্যি জানবার বা জানাবার শক্তি সাহস কোনটায় নেই আমার। আমি যে কাউকে ভালবাসতে পারিনা। কারো ভালবাসা পাওয়ার অধিকার টাও যে আমার নেই! আজ হয়তো আটকানোর চেষ্টা করছি তোমাকে কিন্তু কাল!!! কাল তো কোন অধিকার থাকবেনা তোমার ওপর তখন কিভাবে আটকাবো!! হাহা তুমি জানতেও পারবেনা তুমি চলে যাওয়ার আগেই আমিই হারিয়ে যাবো....
প্রিয় মানব,, উড়োচিঠি তে জানিয়ে দিলাম না বলা সব কথা। জানি এ চিঠি তোমার কাছে পৌঁছোবেনা কখনো,তবুও লিখেছি তবুও জানিয়েছি মনের কথা। আজ কবিতা মনে পড়ছে খুব। ষাটে কিংবা সত্তুরের সেই কবিতাখানা মনে পড়ছে। সেই বয়সে যদি দুজনের দেখা হয় তখন!!! তখনও কি ভালবাসতে পারবো তোমায়!! চল্লিশটা গোলাপ হাতে তুমি কি চেয়ে দেখবে আমার ছুটে আসা!! আমার বুকের বাম পাশটাতে দাড়িয়ে নিয়ে তোমার ভালবাসা!!! জানা নেই জানা নেই। প্রিয়, এ মানুষটিকে খুঁজো না কখনো, এ মানুষটির সত্যি জানতে চেয়ো না কখনো। আর দশ জনের মতো ভেবে পাশ কাটিয়ে যেয়ো। আর তো মাত্র কটাদিন মাস শেষেই তো হয়ে যাবে অন্য কারো। অন্য কারো আকাশের তারা হয়ে তার আকাশে জ্বলজ্বল করবে, আমার আকাশটা তখন! থাক, আমার আকাশটা না হয় আঁধারে ঢেকে থাক। তবু তুমি ভালো থেকো ভালো রেখো নিজেকে।
কতো নক্ষত্রের রাত পেরিয়ে তোমায় পেলাম,
মোহের মত জ্বলজ্বলে স্মৃতি-
এভাবেই বুঝি পাওয়ার ছিলো?
এটাই বুঝি নিয়তি?
____ জীবনানন্দ দাশ
ইতি,
অদৃশ্যে থাকা বৃষ্টি।
(সবটা কাল্পনিক।)

No comments:

Post a Comment