Monday 29 January 2018

অনুগল্পঃ--- #ভোরের_পাখি

অনুগল্পঃ--- #ভোরের_পাখি
লেখা-- আব্দুল হালিম (সাব্বির)
বিছানার উপরে ঠিক গা ঘেসে পড়ে থাকা নিথর স্মার্ট ফোনটির চিঁড়চিঁড়ে কান জ্বালা রিংটনের আওয়াজে সদ্য জেঁকে বসা ঘুমটা ভেঙ্গে থিতু বনে গেলো। তুঙ্গে উঠা রাগের মাত্রাটা যথা সম্ভব উবু করে ফোনটা রিসিভ করলাম। সাথে সাথেই একটি মধুর কন্ঠের সালাম....
----- আসসালামু আলায়কুম ওয়া রহমাতুল্লহ্।
যদিচ কন্ঠটা বেশ মধুর কিন্তু তার চেয়েও অধিক মধুর ছিলো এই মূহুর্তের একটি প্রশান্তময় ঘুম। সুতরাং এই আপাত কচি মধুর কন্ঠেও আমার ক্ষিপ্ত হৃদয় তরল হলো না এতটুকুনও। সুতরাং সালামের জবাব পরিবেশনের পরিবর্তে ঘুমে জড়ানো গম্ভির গলায় বললাম,
---- কে.....???
----- আপনি আমাকে চিনবেন না। প্রথমেই আপনার ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
------ যা করবার তা তো করেই ফেলেছেন, এখন দুঃখ প্রকাশ করেই বা কি লাভ বলুন ? মাত্রই ঘুমটা ধরেছে এরই মধ্যে ফোন করে একটা বিশ্রী অবস্থা তৈরী করলেন। কে বলুন তো আপনি.....?
----- সরি, একটি প্রশ্নের জবাব দেবেন কি প্লিজ ? তাহলেই আমি কে, কেন ফোন করেছি সব খুলে বলছি ...
----- আজিব ব্যাপার..... আপনি তো দেখি প্রশ্নের পিঠে প্রশ্ন করছেন।
----- সরি...
----- আচ্ছা বলুন কি প্রশ্ন...
------ আপনি কি মুসলিম....?
খানিকটা থমকে গেলাম। এ কেমন প্রশ্ন....? অচেনা লোকজন ফোন করলে সাধারণত, কোনো নাম বলে জিজ্ঞেস করে- আপনি কি অমুক, তমুক....? অমুকের ভাই, তমুকের বন্ধু....??? ইত্যাদি ইত্যাদি.... কিন্তু এই মেয়ে তো দেখি অদ্ভুদ প্রশ্ন করে বসলো।
মেয়েটি আমার হঠাৎ নিশ্চুপতা টের পেয়ে আবারো নাড়া দিয়ে বললো,
----- আপনি কি আপনার প্রশ্নটা বুঝতে পেরেছেন....?
------ হ্যাঁ হ্যাঁ বুঝেছি। কিন্তু এই প্রশ্ন কেন বলুন তো?
------ আপনারও তো দেখি প্রশ্নের পিঠে প্রশ্ন করবার অভ্যাস আছে.....
------ ওহ সরি, হ্যাঁ আমি একজন মুসলিম।
----- শুকরিয়া..... ভাই, আমি মিথিলা বলছি, কোথা থেকে বলছি এটা জানা খুব জরুরী নয়। কিন্তু আমি কেন ফোন করেছি সেই কারনটা বলছি- আমি মূলতঃ ফোন করেছি আপনাকে ফজরের নামাজ পড়াতে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য..... আপনি নিশ্চয় জানেন, " সকালটা যার আল্লাহর আনুগত্য দিয়ে শুরু হয়, সারাটা দিন তার জন্য আল্লাহ পাক ওয়াক্ফ হয়ে যান"
------ ওহ্!
"ওহ্" শব্দটির পরে আর কি শব্দ যোগ করা যায়, ঠিক সেই মূহুর্তে মাথায় খেললো না। তবে মেয়েটিই আপন মনে আমার অনতিবিলম্বে কিছু অবশ্যম্ভাবী উঁকি দিতে যাওয়া প্রশ্ন সমূহের উত্তর বলতে শুরু করলো যেন....
----- দেখুন, আপনি হয়তো ভাবছেন (?) আমি আপনার ফোন নংটা কোথায় পেলাম তাই তো....?
----- হুম..
----- আসলে এটা আমার একটা নিয়্যত বলতে পারেন, প্রতিদিন ফজরের ঠিক আগ থেকে শুরু করে আমি ১০ জন মুসলিম ভাই, বোনকে ফোন দিয়ে নামাজের জন্য জাগ্রত করার চেষ্টা করি। আর এই ফোন নম্বরগুলো আমি ইচ্ছামতো বানায় আর ফোন দেই।আজকে তারই অংশ হিসেবে আল্লাহ পাক আপনার ফোন নম্বরটিকে কবুল করেছেন।
---- বাহ চমিৎকার তো। কিন্তু বোনটি.... বাই চান্স আমি যদি কোন হিন্দু অথবা অন্য ধর্মের লোক হতাম তাহলে কি আপনার সেই লোকটিকে বিরক্ত করা হতো না....?
----- ভাই, ভালো প্রশ্ন করেছেন। জবাবটা দুই ভাবে দিতে পারি- (১) দেখুন,কোনো এলাকায় যদি অন্য ধর্মের লোকজনও বসবাস করে তাহলে কি সেই এলাকায় মসজিদের মাইকে ফজরের আযান দেয়া নিষিদ্ধ..?
মিথিলার জবাব শুনে নির্বাক হয়ে গেলাম। যেন এমন প্রশ্নের উত্তর তার রেডিমেট তৈরী করাই ছিলো।অগত্যা তার প্রশ্নে সাঁয় দিতেই হলো।
----- না নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু দুরের মাইকে আযান দেয়া আর ফোনে সজাগ করার ব্যাপারটা কি এক.....?
----- না এক নয়। আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দ্বিতীয় ভাবে দিচ্ছি- (২) দেখুন, আমার জানা মতে সকল ধর্মেই অন্য ধর্মের প্রতি শীতিল মনোভাবের কথা বলা হয়েছে। সুতরাং অন্য কোন ধর্মের কোন ভাই অথবা বোনের কাছে ফোন দিয়ে বসলে আমি আমার উদ্দেশ্যটা বলে দুঃখ প্রকাশ করি। এতে এই অবধি কেউই ক্রোধান্বিত হোন নি..... তাছাড়া হয়তো জেনে থাকবেন, রসুলুল্লাহ (সঃ) থেকে শুরু করে প্রত্যেক আমীরুল মু'মীনীনগণ ফজরে মসজিদে যাবার সময় উচ্চস্বরে সবাই লোকজনকে নামাজের জন্য ডাকাডাকি করতেন আর যেতেন। সেই সময়ও তো অনেক মুশরিক আরবে ছিলো, তাই বলে কি আপনি বলবেন, উনারা ভুল কাজটি করতেন......?
----- না।
নিঃসঙ্কুচে জবাব দিলাম। মেয়েটি আরো বলে চললো,
----- এছাড়া দেখুন, মাত্র ১০ ভাগ সংখ্যালঘুদের জন্য কি ৯০ ভাগ মুসলিমের মাঝে এই ফোনটা দেয়া কি আমার অযৌক্তিক হবে......???
মিথিলার এমন সাঁড়াশী বিশ্লেষণের মাঝে পড়ে এখন মনে হচ্ছে আমার নিক্ষিপ্ত প্রশ্নটা যেন বড়ই অসহায় হয়ে পড়েছে। মেয়েটা তার অখন্ড যুক্তির মাঝে আমার সেই প্রশ্নটিকে এক প্রকার কাঁবু করে ফেলেছে।
আমার প্রতিউত্তরের অপেক্ষা না করেই মিথিলা আরো বলে চললো,
---- প্রায় ৬ মাস অবধি এই কাজটি আমি করে যাচ্ছি, আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত মাত্র ৫-৬ জন অন্য ধর্মের ভাইদের কাছে ফোন গিয়েছে বাঁকি সব ফোন আল্লাহর রহমতে মুসলিমদের কাছেই পৌঁছেছে.....
----- হুম.... আপনার কথায় বেশ যুক্তি আছে।
------ ধন্যবাদ, ভাই আশা করছি- আপনি এখন নামাজ আদায়ের জন্য বিছানা ছেড়ে উঠবেন এবং নিয়মিত যথাযুক্ত নামাজগুলো আদায় করবেন, ইনশাআল্লাহ্ ।
----- হুম, উঠবো......
----- যাজাকাল্লহ্, আল্লাহর রহমতে ভালো থাকবেন আর আমার এবং সমস্ত মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করবেন। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ্।
বলেই সেই মধুর কন্ঠটি শূন্যে হারিয়ে গেলো। আমি ফোনটা হাতে নিয়ে মিথিলার ফোন নম্বরটি দেখছি, যেন অপরূপ কোন সুন্দরীকে দেখছি। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার ফলে ক্লান্ত চোখের কুটুরি চিঁড়ে কয়েক দলা পানি গড়ে পড়তে লাগলো। সারা রাত ধরে ফেসবুকিং আর ইউটিউবিং করে করে চোখ জোড়া ভীষণভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, সাথে শরীরটাও। চোখটা যেন আবার বুজে আসতে চাইছে।কিন্তু মন থেকে সদ্য কেটে যাওয়া মধুর কন্ঠটির সুমধুর বানীগুলো মৌমাছির মতো হৃদয় মঞ্চে গুনগুন করে বাজতে লাগলো অবিরাম.......
ভাবনার গোয়ালে অন্যায় অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে হঠাৎ শয়তান যেন তার সমস্ত শক্তি দিয়ে দোয়ার বন্ধ করতে উদ্ধত হয়ে পড়েছে। মিথিলার কন্ঠ এসে বাঁধা দিলো- " সকালটা যার আল্লাহ পাকের আনুগত্য দিয়ে শুরু হয় সারাটা দিন আল্লাহ পাক তার জন্য ওয়াক্ফ হয়ে যান"
অনেক কষ্টে বিছানা ছেড়ে উঠে বসলাম। কিন্তু শয়তানের মন্ত্র যেন আমাকে ছাড়তেই চাইছে না। অবশেষে মনকে বুঝালাম, এতটা রাত যদি, বন্ধুদের জন্য কিংবা নিজের প্রয়োজনের জন্য জেগে থাকতে পারি(?) তাহলে আল্লাহ পাকের আনুগত্য স্বীকারের জন্যে কি কয়েকটা মিনিট সময় হবে না.......!!!
মনটাকে বিধিবদ্ধ করে সোজা উঠে ওয়াশরুমে অযু সেরে নামাজ আদায় করলাম। নামাজ শেষে সে কি প্রশান্ত বোধ হচ্ছিলো- তা যে আমি কোন ভাষায় প্রকাশ করি....!!!
যাইহোক, সারাটি দিন এত নির্মল, পবিত্র আর চিন্তামুক্ত কাটলো তা অন্য যে কোন দিনের চেয়ে অতিশয় উত্তম। তবে সারাটা দিনে একটি মুহুর্তের জন্যেও মিথিলার সেই কথাগুলো ভুলতে পারিনি। সেই নম্বরটিতে অজস্রবার ফোন দিয়েছি। বারবার-ই বন্ধ পেয়েছি। খারাপ লেগেছে খুব, কিন্তু হতাশ হয়নি। কেন জানি মনে হচ্ছে এই মেয়েটাকে আমার খুব দরকার, একান্ত দরকার। না জানি- মেয়েটিই আমার জান্নাতে যাবার সিঁড়ি। এই সিঁড়ি আমার চায়-ই চায়।
পরদিন ভোরের অনেক আগেই ঘুম থেকে জাগলাম শুধু সেই ভোরের ঘুম ভাঙ্গানী মধুর পাখিটিকে ধরবার জন্যে। বেশ কয়েকবার ফোন দেবার পর লাইনে পেয়ে গেলাম পাখিটিকে। গলাটায় কেমন একটা জড়তা পাঁকলো আমার। মিথিলা সালাম দিলো,
------ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ্। কে বলছেন।
----- আমি সাব্বির, গতকাল ভোরে আপনি আমাকে ফোন দিয়েছিলেন নামাজের জন্য।
------ আলহামদুলিল্লাহ, মাশাআল্লাহ! আজ দেখি আপনি অনেক আগেই জেগে উঠেছেন।
----- হুম, গতকাল সারাটা দিন, আপনার এই নম্বরে অসংখ্যবার ফোন দিয়েছি, প্রত্যেকবারই বন্ধ পেয়েছি।
----- ভাই, আমি এই সীমটা শুধুই এই কাজেই ব্যবহার করি। সেই জন্য এটা খোলা থাকে ফজরের সময় পর্যন্ত।
----- ধারণা করেছিলাম।
----- জ্বী, কিন্তু আমাকে এতবার ফোন দেবার কারনটা কি.....?
----- কারন আছে..... অনেক বড় কারন। আমি সাব্বির, ভার্সিটিতে "আইন " বিষয়ে পড়াশুনা করছি ৪র্থ ইয়ার।পাশাপাশি কোর্টে প্র্যাক্টিসও করছি।
----- মাশাআল্লাহ্! কিন্তু এইসব আমাকে বলার কারন কি.....?
----- কারন আছে..... অনেক বড় কারন। আপনি কি করেন একটু বলবেন প্লিজ.....???
------ আমিও পড়াশুনা করি। অর্থনীতি তে অনার্স ২য় বর্ষ। আশা করি আর কিছু জানতে চাইবেন না।
----- মাশাআল্লাহ্। ঠিক আছে..... বাট আমি মনে করেছিলাম আপনি কোন মাদ্রাসায় পড়ুয়া হবেন। এমন উদ্দোগ অনার্স পড়ুয়া মেয়ের হতে পারে, ভেবে বিস্মিত হচ্ছি।
----- আমি একজন মুসলিম! এটা আমার দায়িত্বের মধ্যেও পড়ে।
----- হ্যাঁ ঠিক আছে...... এই জন্যেই আপনাকে আমার ভীষণ দরকার।
------ মানে.....?
----- না মানে, দেখুন- প্রত্যেকটা ভালো মন্দ কাজের পেছনে কোন না কোন ব্যক্তির বিশেষ অবদান থাকে। তাই না?
----- হ্যাঁ থাকে.....
------ কারো কাঁধের উপর ভর দিয়েই তো মানুষ উপরে উঠে, তাই নয় কি....?
------ হ্যাঁ তাই।
------ কেউ সিঁড়ি হয়েও সাহায্য করে.... তাই না....?
----- হ্যাঁ, কিন্তু এসব কেন বলছেন বলুন তো....? আমার কাজে দেরি হচ্ছে। ১০ জন নতুন লোককে ফোন দিতে হবে......!
------ তুমি টেনশন করো না। আমি পাঁচ জনকে দিবো তুমি পাঁচ জনকে দিও।
------ হাহাহাহাহাহা আপনি কেন দেবেন...?
----- তুমি যেই কারনে দাও সেই কারনেই।
----- হাহাহাহাহা আলহামদুলিল্লাহ। তাহলে তো বেশ ভাল। তবে পাঁচ জন করে নয়, দশজন করেই হোক। সংখ্যাটা বাড়বে....
----- আচ্ছা তাই হবে..... তবুও আমার জান্নাতে যাবার সিঁড়িটা চায়।
------ মানে......?
------ মানে..... কিভাবে কথাটা বলবো, বুঝতে পারছি না, তবে বলাটাও জরুরী.... অভয় দিলে বলবো...
----- জ্বী, নির্ভয়ে বলুন....
------ আসলে.... আমার কেন জানি মনে হচ্ছে- আমার জান্নাতে যাবার সিঁড়িটা হলে - তুমি, আমার সেই সিঁড়িটা খুব দরকার......
মিথিলা হঠাৎ নিশ্চুপ হয়ে গেলো। আমার শরীরটাও কাঁপতে লাগলো বেদুমচে। না- জানি মেয়েটা কি নাকি ভাবছে। কিন্তু আমারই বা কি করার আছে....? আমি সত্যটা উৎঘাটন করেছি মাত্র। নিজের দাবিতে অটল বাক্যে বলেই চললাম,
------ মিথিলা, আমি কোন কিছু ভুল বলে থাকলে মাফ করে দিও। তবে আমার হৃদয় বলছে, তুমি আমার জান্নাতে যাবার অসীলা হতে পারো। আমি তোমাকে বিয়ে করতে চায়। এটা তো কোন অপরাধ নয়....
এবার সোজা সাপ্টা ফোনটা কেটে দিলো মিথিলা। নির্জিব পদার্থের মতো নিশ্চল বসে বসে প্রতিফল ভাবতে লাগলাম। আমি কি ভুলই করলাম....? কিন্তু তাকে তো আমি বৌ হিসেবেই চায়। পরে বেশ কয়েকবার ফোন দিলাম প্রত্যেকবারই ফোনটা কেটে গেলো। হৃদয়টা যেন দুমড়ে গেলো আমার। বিধ্বস্ত মনে উঠে গিয়ে অযু সেরে এসে মিথিলার কথা মতো ১০ জন ভাইকে ফোন দিয়ে জাগিয়ে দিয়ে নিজেও নামাজ আদায় করলাম।
নামাজ শেষে বিছানায় গা এলিয়ে শুয়েছি। প্রচন্ড নিঃসঙ্গ মনে হচ্ছে নিজেকে। কত বড় সম্পদ-ই না হারালাম। এর বাহিরে কিইবা করার ছিলো আমার(?)
এইসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি জানিনা। ঘুম ভাঙ্গলো প্রায় সকাল ১০টা নাগাদ। ঘুমের ঘোরে ফোনটা হাতে নিয়েই দেখি- একটি এসএমএস, মিথিলার নম্বর থেকে এসেছে। সাথে সাথে সারা শরীরে যেন ভূমিকম্প বয়ে গেলো। তড়িৎ কাঁপতে কাঁপতে এসএমএসটা পড়তে শুরু করলাম। তাতে লিখা.....
" মিস্টার সাব্বির, ঐ মূহুর্তে ফোনটা কেটে দেবার জন্য দুঃখিত। আসলে ফোনটা না কেটে উপায় ছিলো না, কেননা, তখন আপনার অমন অকস্মাৎ প্রশ্নের জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। নামাজ শেষে দু' রাকাত নফল আদায় করে সিদ্ধান্ত নিলাম। আর সেই সিদ্ধান্তটা হলো- সিঁড়ি হিসেবে যখন আমাকেই পছন্দ হয়েছে তখন আর কিইবা করার আছে বলুন(?) আল্লাহ পাকের নামে আপনার পদজোড়া সিঁড়িতে স্পর্শ করুন। আল্লাহ চাহেন তো আপনার আর আমার তথা আমাদের জান্নাত গমনের ইচ্ছা পূরণ হবে, ইনশাআল্লাহ্। আমার ঠিকানা লিখে দিচ্ছি--এই ঠিকানা অনুযায়ী আমার সম্মানিত আব্বুজানের কাছে সবিনয় প্রস্তাব প্রেরণ করুন। আশা করি তিনি সম্মতি দেবেন। আল্লাহ পাক আমাদের কবুল করুন.....আমিন"
অনতিদীর্ঘ এসএমএসটি পড়তে পড়তে কখন যে চোখের জলে বালিশ ভিজে একাকার হয়ে গেছে তা টেরই পায় নি। তাহাকে পাইলাম, যেন আমি সমস্ত পাইলাম...............

No comments:

Post a Comment