Sunday 1 April 2018

লেখক পরিচিতি - সোহান সরকার


সোহান সরকার ১৯৯৫ সালের ২৯ অক্টোবর কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলার পাটাধোয়া পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। লেখকের বর্তমান স্থায়ী নিবাস রাজিপুরের কলেজ পাড়া।
রাজিবপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষে বর্তমানে তিনি কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল পড়ছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
তিনি রাজিবপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রাজিবপুর উপজেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পড়ার সময় স্কুলের বিতর্ক দলের দলনেতা ছিলেন তিনি ২০১০ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় তিনি জিপিএ ৫.০০ অর্জন করেন।
লেখালেখি ছাড়াও আরো বেশ কিছু বিষয়ের প্রতি তার আকর্ষণ রয়েছে। ঢাকাতে একটি গোজো রিউ কারাতে প্রতিষ্ঠানে তিনি দীর্ঘদিন কারাতে অনুশীলন করেছেনকারাতে ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের মার্শাল আর্ট তার ভাল লাগার একটি বিষয়। ছবি তুলতে ভালবাসেন তিনি, ভালবাসেন প্রকৃতিকে ছবিতে ধারণ করতে। গ্রামীণফোনের সর্বশেষ ২০১৪ সালের পরিবেশ বিষয়ক বৃহৎ পরিসরের আয়োজিত আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী “ক্লিক গ্রীণ’’ এর পুরো দেশ থেকে বাছাই করা চূড়ান্ত ২৫ জনের মধ্যে ছিলেন তিনি।
কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করেই কাজ করার অভিপ্রায়টি তার মধ্যে কোনদিন ছিল না। যখন যেটা ভাল লাগে সেটা করার মাধ্যমেই নিজের কর্মকে উপভোগ করতে চেষ্টা করেন তিনি
সাহিত্যের প্রতি তার অনুরাগ খুব ছোট বেলা থেকেই। কৈশোরে তার অনেকগুলো কবিতার খাতা ভরে থাকত কবিতায়বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকায় লেখা পাঠালে পাঠক ও লেখকদের থেকে ভালবাসা পেতেন যা তাকে আরো বেশি লিখতে উৎসাহিত করত তার এখন পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ৬ টি। লেখকের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘নয়নমণি’ প্রকাশ হওয়ার পর পাঠকদের কাছে বেশ সমাদৃত হয়েছিল। গুণীজনদের ইতিবাচক সমালোচনা ও অনুপ্রেরণা পেয়ে পরবর্তীতে প্রকাশ করেন কাব্যগ্রন্থ “স্বচ্ছ প্লাস্টিকে ঢাকা চোখ” ও কাব্যগ্রন্থ সংকীর্ণ সরণিতে’’। মূলত কবিতার প্রতি ভালবাসাটা বেশি থাকলেও গদ্য সাহিত্যের প্রতি রয়েছে তার আলাদা ধরণের টান। তার প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ‘অযাচিতা’ ও বিশেষ করে তার উপন্যাস ‘লালভানু’ পেয়েছে পাঠকপ্রিয়তা। তার ২০১৮ সালের বইমেলায় প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ “এককিত্বে ঘর ভরা” ছাড়াও সর্বশেষ বেশ কিছুদিন তিনি কাজ করেছেন শিশুতোষ বই “বাচ্চা বিড়াল” নিয়ে। অন্যান্য কর্মের মাঝে নিজেকে সাহিত্যিক হিসেবে ভাবতে বেশি ভাল লাগে তার।
সাহিত্যে তার বিচরণ আরো বেশি হওয়ার ব্যাপারে তিনি সকলের দোয়া ও ভালবাসা প্রত্যাশা করেন।


No comments:

Post a Comment