কে সবচেয়ে বড়?
আল্লাহ তায়ালার মাখলুকের ভিতর?
আকৃতিতে বড় – তিমিমাছ, হাতি।
দ্রুততায় বড় – সুইফট বার্ড আর লেপার্ড।
সৌন্দর্যে বড় – প্রজাপতি, ময়ূর, হরিণ।
শৃঙ্খলা, একতা আর পরিশ্রমে বড় -মৌমাছি, পিঁপড়া।
কিন্তু মানুষ হচ্ছে সকল মাখলুকের ভেতর সবচেয়ে বড় এবং শ্রেষ্ঠ; কিন্তু কেন? জ্ঞান,চরিত্র আর যোগ্যতায়। আর মানুষের ভেতর সবচেয়ে বড় মানুষ তারাই – যাদের জ্ঞান, চরিত্র আর যোগ্যতা সবচেয়ে বেশি।
আমরা প্রথমতঃ ক্যারিয়ার গঠন বা মানবীয় উন্নতির কিছু মৌলিক ফর্মুলার কথা আলোচনা করবো- অতঃপর ক্যারিয়ারের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। চলোই না তাহলে, আর দেরি না করে শুরু করা যাক আত্মোন্নয়নের পথ পরিক্রমা।
সুদৃঢ় আকাঙ্ক্ষা
কোন পরিকল্পনা, তা যতই সুন্দর হোক না কেন, ততক্ষণ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয় না যতক্ষণ না তার সাথে যোগ হবে সুদৃঢ় আকাঙ্ক্ষা। নবুয়ত পাওয়ার পরপরই যখন রাসূল (সাঃ) -এর ওপর নেমে এলো বিপদের র্পবত; এমনকি কুরাইশ নেতৃবৃন্দ জোটবেঁধে দাঁড়িয়ে গেল বাধার পাহাড় হয়ে। এমনি সময়ে, সিংহপুরুষ আবু তালিবও ঘাবড়ে গিয়ে ভাতিজা মুহাম্মদ (সাঃ) কে বললো, কুরাইশ নেতৃবৃন্দের সাথে একটি আপোসরফা করে চলার জন্যে। তখন,তখন কি হলো? আমাদের প্রিয় নবী কি ঘাবড়ে গেলেন? না, মোটেই না।বরং দ্বিগুণ তেজে বললেন,” ওরা আমার এক হাতে যদি চন্দ্র এবং আরেক হাতে সূর্যকেও এনে দেয় তবু আমার পথ থেকে আমি এক চুল পরিমাণও বিচ্যুত হবোনা।” জীবনে এমন কঠিন অঙ্গীকার ছিল বলেই মক্কার সেই কিশোর রাখাল বালকটি বড় হয়ে সমগ্র জাহানের অধিপতি হয়েছিলেন। যার জীবন অধ্যয়ণ করে নেপোলিয়নের মত; বিশ্ববিখ্যাত সেনাপতিও আশ্চর্য হয়ে বলেছিলেন,” মুহাম্মদের যুদ্ধবিজয়ের ঘটনাগুলি দেখলে মনে হয় তিনি কোন মানুষ নন;বরং স্বয়ং খোদা! কিন্তু আবার তাকে খোদাও বলা যায়না কারণ তিনি যুদ্ধে নিজে আহত হয়েছেন তার সৈন্যরা মারা গেছে; তাই কোন মানবীয় বুদ্ধি দিয়ে তার এই অত্যাশ্চর্য বিজয়কে বিশ্লেষণ করা যায়না।” এত অল্প সময়ে রাসূল (সাঃ) এর অবিস্মরনীয় সাফল্যের পেছনে শুধুমাত্র আল্লাহর সাহায্যই নয় বরং তার সুদৃঢ় আকাঙ্ক্ষা এবং সাধনাও মূল কার্যকারণ হিসেবে কাজ করেছে। আর তাইতো আমেরিকার সবচেয়ে সফল প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন বলেছেন,” যদি কেউ গভীরভাবে উকিল হওয়ার ইচ্ছা করে তবে অর্ধেক ওকালতি পড়া হয়ে যায়, আর বাকি অর্ধেকটা তাকে বই পড়ে শিখতে হয়।” ঠিক তেমনি আটলান্টিকের ওপর দিয়ে সবার আগে উড়ে যাওয়া এমেলিয়া আরহার্ট বলেছেন,” আমি আটলান্টিকের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়েছিলাম কারণ আমি উড়তে ইচ্ছা করেছিলাম।” ব্রিটেনের টাউনশেন্ড অফিসের এক ক্যাশিয়ার, কলম পিষতে পিষতে হঠাৎ ভাবলেন,হায়! এভাবেই কি জীবনটা শেষ হয়ে যাবে? যেই ভাবা সেই কাজ, চাকুরি ছেড়ে দিলেন তিনি। যাত্রা হলো শুরু। শেক্সপীয়ারের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন নিজকে এবং ভাবীকালে সত্যিই তিনি শেক্সপীয়ারের সমকক্ষ, সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী র্জজ বার্নার্ড শ হয়েছিলেন। সুতরাং বলা যায়, সুদৃঢ় ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে সফলতার পূর্বশর্ত। আল্লাহ পাক কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন, “ যারা সুদৃঢ় প্রত্যয়ী তারাই সফলকাম” ।
আল্লাহ তায়ালার মাখলুকের ভিতর?
আকৃতিতে বড় – তিমিমাছ, হাতি।
দ্রুততায় বড় – সুইফট বার্ড আর লেপার্ড।
সৌন্দর্যে বড় – প্রজাপতি, ময়ূর, হরিণ।
শৃঙ্খলা, একতা আর পরিশ্রমে বড় -মৌমাছি, পিঁপড়া।
কিন্তু মানুষ হচ্ছে সকল মাখলুকের ভেতর সবচেয়ে বড় এবং শ্রেষ্ঠ; কিন্তু কেন? জ্ঞান,চরিত্র আর যোগ্যতায়। আর মানুষের ভেতর সবচেয়ে বড় মানুষ তারাই – যাদের জ্ঞান, চরিত্র আর যোগ্যতা সবচেয়ে বেশি।
আমরা প্রথমতঃ ক্যারিয়ার গঠন বা মানবীয় উন্নতির কিছু মৌলিক ফর্মুলার কথা আলোচনা করবো- অতঃপর ক্যারিয়ারের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। চলোই না তাহলে, আর দেরি না করে শুরু করা যাক আত্মোন্নয়নের পথ পরিক্রমা।
সুদৃঢ় আকাঙ্ক্ষা
কোন পরিকল্পনা, তা যতই সুন্দর হোক না কেন, ততক্ষণ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয় না যতক্ষণ না তার সাথে যোগ হবে সুদৃঢ় আকাঙ্ক্ষা। নবুয়ত পাওয়ার পরপরই যখন রাসূল (সাঃ) -এর ওপর নেমে এলো বিপদের র্পবত; এমনকি কুরাইশ নেতৃবৃন্দ জোটবেঁধে দাঁড়িয়ে গেল বাধার পাহাড় হয়ে। এমনি সময়ে, সিংহপুরুষ আবু তালিবও ঘাবড়ে গিয়ে ভাতিজা মুহাম্মদ (সাঃ) কে বললো, কুরাইশ নেতৃবৃন্দের সাথে একটি আপোসরফা করে চলার জন্যে। তখন,তখন কি হলো? আমাদের প্রিয় নবী কি ঘাবড়ে গেলেন? না, মোটেই না।বরং দ্বিগুণ তেজে বললেন,” ওরা আমার এক হাতে যদি চন্দ্র এবং আরেক হাতে সূর্যকেও এনে দেয় তবু আমার পথ থেকে আমি এক চুল পরিমাণও বিচ্যুত হবোনা।” জীবনে এমন কঠিন অঙ্গীকার ছিল বলেই মক্কার সেই কিশোর রাখাল বালকটি বড় হয়ে সমগ্র জাহানের অধিপতি হয়েছিলেন। যার জীবন অধ্যয়ণ করে নেপোলিয়নের মত; বিশ্ববিখ্যাত সেনাপতিও আশ্চর্য হয়ে বলেছিলেন,” মুহাম্মদের যুদ্ধবিজয়ের ঘটনাগুলি দেখলে মনে হয় তিনি কোন মানুষ নন;বরং স্বয়ং খোদা! কিন্তু আবার তাকে খোদাও বলা যায়না কারণ তিনি যুদ্ধে নিজে আহত হয়েছেন তার সৈন্যরা মারা গেছে; তাই কোন মানবীয় বুদ্ধি দিয়ে তার এই অত্যাশ্চর্য বিজয়কে বিশ্লেষণ করা যায়না।” এত অল্প সময়ে রাসূল (সাঃ) এর অবিস্মরনীয় সাফল্যের পেছনে শুধুমাত্র আল্লাহর সাহায্যই নয় বরং তার সুদৃঢ় আকাঙ্ক্ষা এবং সাধনাও মূল কার্যকারণ হিসেবে কাজ করেছে। আর তাইতো আমেরিকার সবচেয়ে সফল প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন বলেছেন,” যদি কেউ গভীরভাবে উকিল হওয়ার ইচ্ছা করে তবে অর্ধেক ওকালতি পড়া হয়ে যায়, আর বাকি অর্ধেকটা তাকে বই পড়ে শিখতে হয়।” ঠিক তেমনি আটলান্টিকের ওপর দিয়ে সবার আগে উড়ে যাওয়া এমেলিয়া আরহার্ট বলেছেন,” আমি আটলান্টিকের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়েছিলাম কারণ আমি উড়তে ইচ্ছা করেছিলাম।” ব্রিটেনের টাউনশেন্ড অফিসের এক ক্যাশিয়ার, কলম পিষতে পিষতে হঠাৎ ভাবলেন,হায়! এভাবেই কি জীবনটা শেষ হয়ে যাবে? যেই ভাবা সেই কাজ, চাকুরি ছেড়ে দিলেন তিনি। যাত্রা হলো শুরু। শেক্সপীয়ারের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন নিজকে এবং ভাবীকালে সত্যিই তিনি শেক্সপীয়ারের সমকক্ষ, সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী র্জজ বার্নার্ড শ হয়েছিলেন। সুতরাং বলা যায়, সুদৃঢ় ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে সফলতার পূর্বশর্ত। আল্লাহ পাক কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন, “ যারা সুদৃঢ় প্রত্যয়ী তারাই সফলকাম” ।
No comments:
Post a Comment