নারী মুক্তি নয় নারী মুক্ত!
ফয়সাল আহমেদ
আমি আফসানা , মুসলিম ঘরে আমার জন্ম, আমার মা খুব ধার্মিক, ইসলামের প্রতিটি আদেশ নিষেধ মেনে চলতেন, বাবা ছিলেন তার বিপরীত শুক্রবার ছাড়া বাবাকে কখনো নামায পড়তে দেখিনি,
ছোটবেলা থেকে মা আমাকে ইসলামের কথা বলতেন, খোদাভীতির কথা বলতেন,
জান্নাত-জাহান্নামের কথা বলতেন,আমি মা'র সঙ্গে প্রতিদিন নামায আদায় করতাম, সকালে মক্তবে যেতাম, কিছুদিন পর স্কুলে ভর্তি হলাম, পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত খুব ভালোভাবে পড়াশুনা করলাম। এরপর মা বললো মেয়েদের বেশি পড়াশুনার প্রয়োজন নেই, স্বামীর যাবতীয় হিসাব নিকাশ করতে জানলে চলবে। আমি খুব মনে কষ্ট পেলাম, আমি আজ মেয়ে হয়েছি বলে আমাকে আর পড়তে দেওয়া হচ্ছেনা, আমার কত স্বপ্ন! ভালভাবে পড়াশুনা করে একজন ভাল ডাক্তার হবো বা আদর্শবান শিক্ষিকা হবো।
আমার মনের কথা বাবাকে বুঝিয়ে বললাম,বাবা মাকে অনেক বকাঝকা করে আমায় ষষ্ট শ্রেনীতে ভর্তি করালেন।
আমি খুব আনন্দের সাথে পড়তে লাগলাম, ভাল খারাফ বুঝতে শিখলাম। পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন গল্প উপন্যাসের বই পড়তে পছন্দ করতাম। লাইব্রেরি থেকে ভাল ভাল বই সংগ্রহ করতাম, আমি স্কুলে পড়ার পাশাপাশি বাহ্যিক বইয়ের প্রতি প্রভাবিত হয়ে পড়ি। বিভিন্ন লেখকদের বই পড়ে ধর্মের প্রতি কেমন অনিহার সৃষ্টি হতে লাগলো, এখন ধর্মের কথা ভাল লাগেনা, মনে হয় যেন ধর্ম মানুষের বানানো রীতিনীতি, মা'কে মাঝেমাঝে ধর্মের ব্যপারে আজে বাজে প্রশ্ন করি, মা বলতো! এসব বলেনা গুনাহ হবে, আমি মনে মনে হাসতাম,স্কুলে টিচারদের কাছে ধর্ম বিষয়ক প্রশ্ন তুলে ধরতাম তারা কোন উত্তর দিতে পারতোনা, তাই আমি বললাম, এসব ধর্ম তর্ম কিছু নেই, আমার নামাজ কালামের প্রতি অনিহা দেখে মা প্রচন্ড রেগে যেতেন,এবং তা নিয়ে প্রতিদিন রাগারাগি করতেন, মাঝেমাঝে দুঃখ করতাম নারী হয়ে জন্ম না হয়ে যদি পুরুষ হয়ে জন্ম নিতাম,তাহলে যখন খুশি তখন যেখানে সেখানে যেতে পারতাম, তখন নারী মুক্তির পথ প্রদর্শক, শহীদ মাতা জাহানারা ইমাম,বেগম সুফিয়া কামাল ও তাসলিমা নাসরিনের বই অধ্যায়ন করতে লাগলাম, মনে মনে ভাবতে লাগলাম আমরা মেয়েরা কম কিসের আমরা ও পারি সব করতে, মনটা আনন্দে ভরে গেল, আগে নারী বলে যে একটা মনের ভেতর ভয় কাজ করতো তা এখন আর করেনা, এখন সবার সাথে অবাধ মেলামেশা করি।
এভাবে চলতে চলতে স্কুল জীবন শেষ করে কলেজ জীবনে পাঁ বাড়ালাম তাতেও কত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আসতে হলো।
কলেজ লাইফে বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যোগ দিলাম,বেশ সুনাম অর্জন হলো, মাঝে মাঝে লেখালেখি ও করতাম নারী মুক্তি নিয়ে।
হঠাত একদিন সংগঠনের বিজয় বাবুর মুখে আমার নাম শুনলাম,আমার অনেক প্রশংসা করলেন।আমার কাজে তারা সাপোট দিতেন,আমাকে বলতেন এগিয়ে যাও তোমরা একদিন বড় কিছু হবে, তিনি আমার কয়েকবছরের সিনিয়র ছিলেন,ওনার মুখে আমার প্রশংসা শুনে, ওনাকে আমার ভাল লেগে গেল, একসময় আমাদের ভাল সম্পর্ক হয়ে গেল, আমরা একসাথে শপিং এ যেতাম,অনেক ঘুরাফেরা করতাম কলেজ ফাঁকি দিয়ে। একদিন বিজয় বাবু আমায় ফোন করে বললেন,আফসানা! চলো আজ আমরা রেষ্টুরেন্ট এ লাঞ্চ করবো,আমি সায় দিয়ে চলে গেলাম রেষ্টুরেন্ট এ, ওখানে বিশ্রামের আলাদা রুম ছিল,আমরা লাঞ্চ করে, ওখানে কিছুক্ষন সময় কাটালাম, হঠাত বিজয় বাবুর চোখে আমার চোখ পড়লো উনি গভীর দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন, আমি লজ্জায় মাথানিচু করে ফেল্লাম, কিছুক্ষন পর উনি আমায় জড়িয়ে ধরলেন, আমি চিৎকার করতেই উনি মুখ চেপে ধরে ফেললেন, এবং উনি আমায় --- করলেন। আমি লজ্জায় ঘৃণায় কিছু না বলে অশ্রু ভরা জল নিয়ে চলে এলাম ঘরে, তখনও বুঝতে পারিনি আমি কি করলাম। চলেছি নারী মুক্তির সংগ্রাম নিয়ে, চলতে চলতে কয়েকমাস পর আমার পেট কেমন ভারি ভারি হতে লাগলো, আমি অসম্ভব কিছু অনুভব করতে লাগলাম, বাবা মা আমার এ অবস্থা দেখে লজ্জায় যেন তাদের মুখ লুকানোর জায়গা ছিলনা, তারা আমায় ত্যজ্য করেছেন, আমি কিছুদিন সংগঠনের অনুদানে চললাম, পেটের সন্তানকে নষ্ট করে ফেললাম,তারপর আমার শুরু অন্য এক জিবন।
আমি সারাদিন পুরুষের বিরুদ্ধে লেখালেখি করি, নারীদেরকে অন্ধকার ঘরের থেকে বেরিয়ে বাহিরের আলো বাতাস গায়ে লাগানোর জন্য উদ্ভুদ্ধ করি,
আমার মনে প্রচুর জেদ ছিল, আমি যেভাবে নষ্ট হয়েছি, তাদেরকেও সেভাবে নষ্ট করবো, আমার কলমে তাদের জন্য বিভিন্ন প্রলোভিত করার কথা উল্লেখ করতাম, ইন্টারনেট এ আমার কথাগুলোকে প্রচার করতাম, আমার লেখা দেখে অনেকেই প্রভাবিত হয়েছে, আমি তাতে আনন্দিত হতাম, এগুলোর মাধ্যমে আমার অনেক টাকা উপার্জন হতো।
একসময় ফেইজে এক বন্ধুর সাথে আমার কথা হয়, ধর্মের ব্যাপারে অনেক প্রশ্ন করেন, আমি বলি ধর্ম বলতে কিছু সবকিছুই মানুষের বানানো, তিনি আমায় স্রষ্টাকে চিনিয়েছেন, পরকালের কিছু ফিরিস্তি দিয়েছেন, আর কিছু ইসলামিক বই সংগ্রহের জন্য আদেশ করলেন, আমি ধীরে ধীরে বইগুলো অধ্যায়ন করতে শুরু করলাম, যতই বই পড়ছিলাম, আমি মনের ভেতর লুকিয়ে থাকা হাজার প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজে পাচ্ছি। ধীরে ধীরে বুঝতে পারছিলাম, নারীদের সম্মান বাহিরে নির্লজ্জ ভাবে ঘুরাফেরা করার মধ্যে নয়, পর্দার ভেতরে থেকে আল্লাহ্ র ইবাদত করার মধ্যে শান্তি।
নারী মুক্তির প্রয়োজন নেই, নারীরা মুক্ত আপন গৃহে।
ইসলাম নারীকে সবচেয়ে বেশী সম্মান দিয়েছেন, খুবই মূল্যবান জিনিস যেমন মানুষ খুব আগলে রাখেন, ইসলাম বলেছেন নারীদের পর্দায় থাকতে, কোন পর পুরুষের সাথে কথা না বলতে, কারন প্রত্যেক দামি এবং মূল্যবান জিনিসের প্রতি মানুষের লোভ থাকে, নারী ও ঠিক তেমন।
বর্তমানে যে নারীবাদী পুরুষ নারীদের কে উৎসাহ করছে পর্দা থেকে বেরিয়ে আধুনিকতায় পা বাড়াতে,আসলে কোন আধুনিকতা নয়, তারা নারীদের ভোগ করার জন্য বড়শির মত টোব পালাচ্ছে, আর কিছু কিছু মেয়ে টোব গিলছে অমনি ধরা পড়ে যাচ্ছে, হিংস্র পশুদের বড়শিতে, ইদানীং টিভিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়,
"দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায়" এর অর্থ হচ্ছে তোমরা আসো, ঘর থেকে বেরিয়ে আমাদের কাছে ধরা দাও, আমরা তোমাদের ভোগ করি।
,
,
মন্তব্য করতে ভুল করবেন না।
ফয়সাল আহমেদ
আমি আফসানা , মুসলিম ঘরে আমার জন্ম, আমার মা খুব ধার্মিক, ইসলামের প্রতিটি আদেশ নিষেধ মেনে চলতেন, বাবা ছিলেন তার বিপরীত শুক্রবার ছাড়া বাবাকে কখনো নামায পড়তে দেখিনি,
ছোটবেলা থেকে মা আমাকে ইসলামের কথা বলতেন, খোদাভীতির কথা বলতেন,
জান্নাত-জাহান্নামের কথা বলতেন,আমি মা'র সঙ্গে প্রতিদিন নামায আদায় করতাম, সকালে মক্তবে যেতাম, কিছুদিন পর স্কুলে ভর্তি হলাম, পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত খুব ভালোভাবে পড়াশুনা করলাম। এরপর মা বললো মেয়েদের বেশি পড়াশুনার প্রয়োজন নেই, স্বামীর যাবতীয় হিসাব নিকাশ করতে জানলে চলবে। আমি খুব মনে কষ্ট পেলাম, আমি আজ মেয়ে হয়েছি বলে আমাকে আর পড়তে দেওয়া হচ্ছেনা, আমার কত স্বপ্ন! ভালভাবে পড়াশুনা করে একজন ভাল ডাক্তার হবো বা আদর্শবান শিক্ষিকা হবো।
আমার মনের কথা বাবাকে বুঝিয়ে বললাম,বাবা মাকে অনেক বকাঝকা করে আমায় ষষ্ট শ্রেনীতে ভর্তি করালেন।
আমি খুব আনন্দের সাথে পড়তে লাগলাম, ভাল খারাফ বুঝতে শিখলাম। পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন গল্প উপন্যাসের বই পড়তে পছন্দ করতাম। লাইব্রেরি থেকে ভাল ভাল বই সংগ্রহ করতাম, আমি স্কুলে পড়ার পাশাপাশি বাহ্যিক বইয়ের প্রতি প্রভাবিত হয়ে পড়ি। বিভিন্ন লেখকদের বই পড়ে ধর্মের প্রতি কেমন অনিহার সৃষ্টি হতে লাগলো, এখন ধর্মের কথা ভাল লাগেনা, মনে হয় যেন ধর্ম মানুষের বানানো রীতিনীতি, মা'কে মাঝেমাঝে ধর্মের ব্যপারে আজে বাজে প্রশ্ন করি, মা বলতো! এসব বলেনা গুনাহ হবে, আমি মনে মনে হাসতাম,স্কুলে টিচারদের কাছে ধর্ম বিষয়ক প্রশ্ন তুলে ধরতাম তারা কোন উত্তর দিতে পারতোনা, তাই আমি বললাম, এসব ধর্ম তর্ম কিছু নেই, আমার নামাজ কালামের প্রতি অনিহা দেখে মা প্রচন্ড রেগে যেতেন,এবং তা নিয়ে প্রতিদিন রাগারাগি করতেন, মাঝেমাঝে দুঃখ করতাম নারী হয়ে জন্ম না হয়ে যদি পুরুষ হয়ে জন্ম নিতাম,তাহলে যখন খুশি তখন যেখানে সেখানে যেতে পারতাম, তখন নারী মুক্তির পথ প্রদর্শক, শহীদ মাতা জাহানারা ইমাম,বেগম সুফিয়া কামাল ও তাসলিমা নাসরিনের বই অধ্যায়ন করতে লাগলাম, মনে মনে ভাবতে লাগলাম আমরা মেয়েরা কম কিসের আমরা ও পারি সব করতে, মনটা আনন্দে ভরে গেল, আগে নারী বলে যে একটা মনের ভেতর ভয় কাজ করতো তা এখন আর করেনা, এখন সবার সাথে অবাধ মেলামেশা করি।
এভাবে চলতে চলতে স্কুল জীবন শেষ করে কলেজ জীবনে পাঁ বাড়ালাম তাতেও কত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আসতে হলো।
কলেজ লাইফে বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যোগ দিলাম,বেশ সুনাম অর্জন হলো, মাঝে মাঝে লেখালেখি ও করতাম নারী মুক্তি নিয়ে।
হঠাত একদিন সংগঠনের বিজয় বাবুর মুখে আমার নাম শুনলাম,আমার অনেক প্রশংসা করলেন।আমার কাজে তারা সাপোট দিতেন,আমাকে বলতেন এগিয়ে যাও তোমরা একদিন বড় কিছু হবে, তিনি আমার কয়েকবছরের সিনিয়র ছিলেন,ওনার মুখে আমার প্রশংসা শুনে, ওনাকে আমার ভাল লেগে গেল, একসময় আমাদের ভাল সম্পর্ক হয়ে গেল, আমরা একসাথে শপিং এ যেতাম,অনেক ঘুরাফেরা করতাম কলেজ ফাঁকি দিয়ে। একদিন বিজয় বাবু আমায় ফোন করে বললেন,আফসানা! চলো আজ আমরা রেষ্টুরেন্ট এ লাঞ্চ করবো,আমি সায় দিয়ে চলে গেলাম রেষ্টুরেন্ট এ, ওখানে বিশ্রামের আলাদা রুম ছিল,আমরা লাঞ্চ করে, ওখানে কিছুক্ষন সময় কাটালাম, হঠাত বিজয় বাবুর চোখে আমার চোখ পড়লো উনি গভীর দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন, আমি লজ্জায় মাথানিচু করে ফেল্লাম, কিছুক্ষন পর উনি আমায় জড়িয়ে ধরলেন, আমি চিৎকার করতেই উনি মুখ চেপে ধরে ফেললেন, এবং উনি আমায় --- করলেন। আমি লজ্জায় ঘৃণায় কিছু না বলে অশ্রু ভরা জল নিয়ে চলে এলাম ঘরে, তখনও বুঝতে পারিনি আমি কি করলাম। চলেছি নারী মুক্তির সংগ্রাম নিয়ে, চলতে চলতে কয়েকমাস পর আমার পেট কেমন ভারি ভারি হতে লাগলো, আমি অসম্ভব কিছু অনুভব করতে লাগলাম, বাবা মা আমার এ অবস্থা দেখে লজ্জায় যেন তাদের মুখ লুকানোর জায়গা ছিলনা, তারা আমায় ত্যজ্য করেছেন, আমি কিছুদিন সংগঠনের অনুদানে চললাম, পেটের সন্তানকে নষ্ট করে ফেললাম,তারপর আমার শুরু অন্য এক জিবন।
আমি সারাদিন পুরুষের বিরুদ্ধে লেখালেখি করি, নারীদেরকে অন্ধকার ঘরের থেকে বেরিয়ে বাহিরের আলো বাতাস গায়ে লাগানোর জন্য উদ্ভুদ্ধ করি,
আমার মনে প্রচুর জেদ ছিল, আমি যেভাবে নষ্ট হয়েছি, তাদেরকেও সেভাবে নষ্ট করবো, আমার কলমে তাদের জন্য বিভিন্ন প্রলোভিত করার কথা উল্লেখ করতাম, ইন্টারনেট এ আমার কথাগুলোকে প্রচার করতাম, আমার লেখা দেখে অনেকেই প্রভাবিত হয়েছে, আমি তাতে আনন্দিত হতাম, এগুলোর মাধ্যমে আমার অনেক টাকা উপার্জন হতো।
একসময় ফেইজে এক বন্ধুর সাথে আমার কথা হয়, ধর্মের ব্যাপারে অনেক প্রশ্ন করেন, আমি বলি ধর্ম বলতে কিছু সবকিছুই মানুষের বানানো, তিনি আমায় স্রষ্টাকে চিনিয়েছেন, পরকালের কিছু ফিরিস্তি দিয়েছেন, আর কিছু ইসলামিক বই সংগ্রহের জন্য আদেশ করলেন, আমি ধীরে ধীরে বইগুলো অধ্যায়ন করতে শুরু করলাম, যতই বই পড়ছিলাম, আমি মনের ভেতর লুকিয়ে থাকা হাজার প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজে পাচ্ছি। ধীরে ধীরে বুঝতে পারছিলাম, নারীদের সম্মান বাহিরে নির্লজ্জ ভাবে ঘুরাফেরা করার মধ্যে নয়, পর্দার ভেতরে থেকে আল্লাহ্ র ইবাদত করার মধ্যে শান্তি।
নারী মুক্তির প্রয়োজন নেই, নারীরা মুক্ত আপন গৃহে।
ইসলাম নারীকে সবচেয়ে বেশী সম্মান দিয়েছেন, খুবই মূল্যবান জিনিস যেমন মানুষ খুব আগলে রাখেন, ইসলাম বলেছেন নারীদের পর্দায় থাকতে, কোন পর পুরুষের সাথে কথা না বলতে, কারন প্রত্যেক দামি এবং মূল্যবান জিনিসের প্রতি মানুষের লোভ থাকে, নারী ও ঠিক তেমন।
বর্তমানে যে নারীবাদী পুরুষ নারীদের কে উৎসাহ করছে পর্দা থেকে বেরিয়ে আধুনিকতায় পা বাড়াতে,আসলে কোন আধুনিকতা নয়, তারা নারীদের ভোগ করার জন্য বড়শির মত টোব পালাচ্ছে, আর কিছু কিছু মেয়ে টোব গিলছে অমনি ধরা পড়ে যাচ্ছে, হিংস্র পশুদের বড়শিতে, ইদানীং টিভিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়,
"দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায়" এর অর্থ হচ্ছে তোমরা আসো, ঘর থেকে বেরিয়ে আমাদের কাছে ধরা দাও, আমরা তোমাদের ভোগ করি।
,
,
মন্তব্য করতে ভুল করবেন না।
No comments:
Post a Comment